বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল বিন আখতারের বিরুদ্ধে বাড়ীর গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা তদন্তে প্রমাণ না মেলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে ডিবি।
গত ৫ই মে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী ডিবি’র এসআই মিলন চন্দ্র বর্মন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগ প্রমাণে সঠিক কোন তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি মামলা সংক্রান্ত আক্রোশে ওই গৃহ পরিচারিকা ফয়সালের বিরুদ্ধে কাল্পনিক ঘটনা রচনা করে ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মিলন চন্দ্র বর্মন।
এর আগে গত ১১ই ফেব্রুয়ারী ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই গৃহ পরিচারিকা। গত ২৬শে জানুয়ারী রাতে ফয়সাল তার রুমে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই গৃহ পরিচারিকা বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় দুই সন্তানকে তার মা-বাবার কাছে রেখে সে অন্যের বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ফয়সালের মায়ের অসুস্থতা কারণে সেই ওই বাড়ীতে গৃহ পরিচারিকার কাজ নেয়। তবে ওই বাসায় কাজ করা অবস্থায় সে গত ৩১/১০/২০২০ তারিখে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা এলাকায় ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৩মাস হাজতে থাকেন। ওই মামলায় সে ফয়সাল তার নিজের স্বামী বলে পরিচয় দিয়ে পলাতক আসামী হিসেবে ফয়সালের নাম প্রকাশ করে। ওই মামলায় জামিনে বের হয়ে এসে সে তার বোন ও মা-বাবার বাড়ীতে বসবাস করতে থাকলেও পুনরায় সে আর ফয়সালের বাসায় কাজ করার সুযোগ পাননি। ওই মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সাথে ফয়সালের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এছাড়া ওই গৃহ পরিচারিকাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করানো হলে গাইনি চিকিৎসক ডাঃ নাজনীন সুলতানা ধর্ষণ সংক্রান্ত সনদ প্রদান করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ওই গৃহ পরিচারিকার দেহের উপর যৌন মিলনের চিহ্ন রয়েছে তবে সহিংসতার কোন চিহ্ন নেই।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শৈলকুপা থানায় ইয়াবার মামলার পর থেকে গত ২৬শে জানুয়ারী রাত পর্যন্ত ওই গৃহ পরিচারিকা ফয়সালদের বাসায় ছিলেন না বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ওই রাতে তাকে হাত পা বেঁধে খাটের উপর জোর পূর্বক ধর্ষণ করার বিষয়ে কোন সত্যতা, সঠিক তথ্য ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply